গলাচিপা থানার পূর্বনাম ছিল “খলিসাখালি”। গলাচিপা থানা সদর দপ্তর স্থাপিত হয় ১৮৭৩ সালে। রামনাবাদ নদীর পাড়ে অবস্থিত এই ছোট্ট শহর একসময়কার বিখ্যাত নদীবন্দর। লোকমতে, রামনাবাদ নদী গলাচিপা নদীবন্দরের এই জায়গায় অনেকটা গলার মত সরু হয়ে প্রবাহিত হতো বলে এই জায়গার নাম হয় “গলাচিপা”।
বার্মা রাজার অত্যাচারে বিতাড়িত রাখাইনদের একটি দল ১৭৮৪ সালে রাঙ্গাবালি দ্বীপে এসে বসতি স্থাপন করে। মূলত এই সময় কাল থেকেই এই অঞ্চল ধীরে ধীরে জনপদে রূপলাভ করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পানপট্টি গ্রামে পাকসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। ৮ মে পাকসেনারা চিকনিকান্দি ও ডাকুয়া গ্রামে হামলা চলিয়ে ২৯ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে এবং বহু ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়।
গলাচিপা উপজেলার আয়তন ৯২৫.০৮ বর্গ কিঃমিঃ এবং জনসংখ্যা ৩,৬১,৫১৮ জন (আদমশুমারি ২০১১)। উপজেলার জনসাধারন প্রকৃতিগতভাবেই উৎসব প্রিয়। এই জনপদের ধর্মীয় ও সমাজিক উৎসবগুলোতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের অংশগ্রহন লক্ষণীয়। এখানে প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর পাশাপাশি জগদাত্রীপূজা,নীল পূজা,মনসা পূজা, নাম কীর্তন, পৌষ সংক্রান্তিতে নবান্ন উৎসব উদযাপন করা হয়। সামাজিক উৎসবের মধ্যে পহেলা বৈশাখ,বৈশাখী মেলা,দয়াময়ীর মেলা প্রধান।
ছবিতে ছোট্ট শহর
তুমি যদি বলো ভোরের বেলার কাঁক/ শব্দ করা একলা স্টিমার ফেরিওয়ালার হাক/ লাঠি হাতে ডাকাত সর্দার/ রাত জাগা হাইওয়ের ঘুমিয়ে পড়া কোন এক ড্রাইভার/ এই শহর আমার…
আমাদের ফাল্গুনী - ফাল্গুনী সাহা। গলাচিপা সদরের বটতলায় যার শৈশব শুরু। শৈশবের শুরুর দিনগুলো ভাল কাটলেও সাত বছর বয়সের এক রৌদ্রজ্জ্বল দিনে তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তখন [...]
" যখন সমগ্র ভারত গভীর নিদ্রায় নিমগ্ন - তখন বরিশাল ছিল সদা জাগ্রত " - বরিশালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে বলতে গিয়ে মহাত্মা গান্ধী এপ্রিল ১৯২১ এ কথা [...]
খাবার - দাবার এর কথা শুনলেই জিভে জল আসা স্বাভাবিক ব্যাপার। আর সেই জিভের জলের তোড়জোড় বেড়ে যাবে যখন আপনি সদর এলাকায় ১ কি.মি. রাস্তায় পেয়ে যাবেন ছোট [...]